সন্তানহীন দম্পতিরা একবার পড়ে দেখুন

গাইনি ডাক্তারদের কাছে যারা গেছেন তারা নিশ্চয় দেখেছেন কি পরিমান ভিড় লেগেই থাকে। বিবাহের শুরুতেই যারা সন্তান নেন না বা অনিহা প্রকাশ করেন তারাই এখানে সমস্যায় বেশি পড়েন। তারা হয়ত ভাবেন জীবন টা আরেকটু গুছিয়ে নিয় তারপর সন্তান নেব। কিংবা ভেবে নেন যে, আয় টা আরেক টু বাড়ুক তারপর না হয় সন্তান নেব। একটু দেরী হবার ফলে তারা সন্তানহীন তালিকায় পড়ে যান।

কিন্তু যখন সন্তান নেওয়ার জন্য রেডি তখন আর কোনো উপায় থাকেনা। তখন হাজার চেস্টা করে ও আর উপায় হয়না। ডাক্তার কবিরাজ আর আর হুজুর এর পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে আপনার টাকার বারোটা বাজবে। কিন্তু ফলাফল শুন্য।

আরো পড়ুনঃ ভবিষ্যতের ৪ উদীয়মান প্রযুক্তি যা পুরো চাকরির বাজার নিয়ন্ত্রন করবে।

তাইতো সংসার ভেংগে যাছছে অনেকের। আবার অনেকে বউকে দোষ দিয়ে নতুন বিয়ে করছেন। আধুনিক জীবনে অভ্যস্ত আজ আমরা বড়ই অসহায়। আমি কিন্তু এখানে মেয়েদের ছেয়ে ছেলেদের দোষ বেশি দেব। আমি ডাক্তার নই, কিন্তু সন্তান না হওয়ায় কি যন্ত্রনা তা আমি হারে হারে টের পেয়েছি।

আমি অনেক গবেষনা করেছি এই একটা বিষয় নিয়ে। নিজেকে অনেক বেশি অসহায় লাগে যখন আপন জনেরা ও বলে সন্তানের বদলে কুকুরের বাচ্চা পালতে। আমি অনেক চিকিৎসার পর যখন ১০ বছর হয়ে গেল তখন একেবারে হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি কতো টাকা খরচ করছিলাম একটা সন্তানের জন্য একমাত্র আল্লাহ জানেন। সেটা ৫০ লাখ টাকার কম নই। আমি যেহেতু সৌদি আরব থাকি এবার টিক করলাম বউকে সউদিতে নিয়ে যায়। আল্লাহর হারাম শরিফ আর সর্বকালের সেরা নবির রউজা জিয়ারত করলে হয়ত আল্লাহ পাক আমাদের আশা পুরন করবেন। আমার সহ ধর্মিনি চাইছিল খাজা বাবার মাজারে যাবে। আমি বললাম না হারাম শরিফ এবং আমার আল্লাহর কাছে চাইব তাহলে হয়তো আল্লাহ পাক আমাদের উপর রাজি হবেন।

অবশেষে আমরা সফল হলাম। ৩মাসের মাথায় আমরা সুখবর পেলাম। মক্কায় আমার স্ত্রী কতো সময় কেদেছে তার কোন হিসাব নায়। প্রথম সুখবর পাওয়ার পর আমরা আবার ওমরা পালন করি তখন আমার সন্তানের বয়স ৩ মাস ওর মায়ের পেঠে। জীবন থেকে আমি উপলব্দি করলাম কিশোর জিবনের হস্তমইতুন সবার জীবনকে এই অবস্তায় নিয়ে যায়। ডাক্তার দিয়ে পরীক্ষা করিয়েছি কিন্তু ডাক্তার আমার কুনো সমস্যা পাইনি। আপনি কি জানেন টেস্ট টিউব পদ্দতিতে যে সন্তান ধারন করা হই তা অন্য কারো বীর্য মাতৃ গর্ভে দিয়ে তার মাধ্যমে সন্তান উৎপাদন করা হয়। আমি শেষ পর্যন্ত সেই পদ্দতি গ্রহন করতে ছেয়েছিলাম। কিন্তু আমার সহধর্মিণী সেভাবে সন্তান নিতে চায়নি।

আপনি যখন সন্তান নেবার জন্য প্রস্তুত তখন আপনার প্রয়োজন যতেষ্ট শক্তিশালী শুক্রানু। অবশ্য যারা নতুন বিবাহ করেন তাদের কম শুক্রানু সমৃদ্দ বীর্য হলেও কনসিভ হয়। আপনার শুক্রানু গুলো যখন ডিম্বানুর ভিতর যাবার আগেই শেষ হয়ে যায় বা মারা যায় তখন এগুলো কিভাবে সন্তান ধারন করবে। অর্থাৎ এগুলো সন্তান উতপাদন করতে সক্ষম নই। এইবার আসি এর কিভাবে সমাধান করব।

আমি আমার জীবন থেকেই বলি। আমার প্রথম সন্তান হওয়ার প্রায় ৬ বছর কেটে গিয়েছে। আমরা চাইছিলাম আরেক টি সন্তান নিতে। কিন্তু কিছুতেই সফল হচ্ছিলাম না। আগের মতো এতো টাকা খরচ আমার পক্ষে অসম্ভব। এবার বিভিন্ন ভিডিও আর আর ব্লগ পড়তে লাগ্লাম। এখান থেকে কিছু পরামর্শ পেলাম। প্রথমত আমার স্ত্রীর মাসিক চক্র নিয়মিত করতে হবে আর জরায়ুতে কোন সমস্যা আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করালাম ব্যাস আর কোন টাকাই খরচ করলাম না। কিভাবে আমি নিজেকে শক্তিশালী এবং আমার বীর্য ঘন এবং শুক্রানোর সংখ্যা বাড়াব সেটা নিয়ে বিভিন্ন ডাক্তারদের আলোচনা গুলো শুনতে লাগলাম। একজন তরুন ডাক্তার এর আলোচনা আমার খুবি ভাল লাগল। ওনি বলছিলেন আমরা যদি নিয়মিত ভিটামিন ডি নিতে পারি তাহলে আমাদের শরীরের অধিকাংশ রোগই বাসা বাধতে পারেনা। আমাদের শুক্রানোকে শক্তিশালি করতে হলে আমাকে প্রতিদিন অনেক বেশি বিটামিন ডি নিতে হবে।

ভিটামিন ডি নিতে হলে দিনের বেলা এগারোটা থেকে ৩ টা সময় টা বেশ কার্যকর। প্রথমে তো আমার ওয়াইফের ডাক্তার দেখিয়ে মাসিক চক্র নিয়মিত করে নিলাম তারপর আমি তাকে তার বাপের বাড়ি পাটিয়ে দিলাম যেদিন ওর মাসিক শুরু হল ওইদিন। এবার দুপুর এগারোটা বাজে শুরু করে দিলাম ভিটামিন ডি নেয়ার কাজ। তাই সারা শরীর থেকে কাপড় খুলে শুয়ে পড়তাম বিছানায় যাতে আমার সারা শরীরে রোদ পড়ে। আমার ঘরটি পশ্চিম মুখী থাকায় এই সুবিধাটি পেয়েছিলাম। আর নিয়মিত সুষম খাবার খেতে লাগলাম। সকাল দুপুর তিন বেলায় তিন টা ডিম। প্রতিবার মাছ মাংস খাওয়া নিয়মিত করলাম আর ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতাম যেমন মাল্টা, খেজুর, চকলেট। এগুলো নাকি বেশ কাজে দেয় শক্তিশালী শুক্রানো উৎপাদনে। প্রতিদিন অন্তত ২ টা আপেল খাওয়া শুরু করলাম। সকালে মিনিমাম ৩০ মিনিট হাটাহাটি করা। আমাদের সবছেয়ে বড় সমস্যা হল ভিটামিন ডি নেওয়া। কারন সবার তো আর আমার মত নির্জন জায়গা না ও থাকতে পারে, তবে এটা মেনেজ করে নিতে হবে নিজেকে। এটা সবছেয়ে বেশি প্রয়োজন। মেয়েদের সন্তান সম্ভাবা হওয়ার সব ছেয়ে ভাল সময় হল ১৪ এবং ১৭ তম দিন। মাসিক হওয়ার চৌদ্দ তম দিন প্রথম মিলন করতে হবে কারন এই দিন টা সবছেয়ে সন্তান সম্ভাবা হওয়ার দিন। ২ দিন বিরতি দিয়ে ১৭ তম দিন ২য় মিলন করতে হবে। মিলন করার পর খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন বীর্য বাইরে না পরে। আরেক টা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে এই কইটা দিন খুব ইম্পরটেন্ট। তাই এই সময় আর কোনভাবে বীর্য নস্ট করা যাবেনা। এই কাজ গুলো করার পর দেখবেন আপনার বীর্য খুব শক্তিশালি হবে। সন্তান হওয়ার জন্য খুব শক্তিশালী শুক্রানু উতপাদন হবে।

একজন শহরে লোকের শুক্রানো হইতে একজন মাঠে খেঠে খাওয়া মানুষের শুক্রানু অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। কিন্তু খেয়াল করুন তু যারা নিয়মিত মাটে খালে কাজ করে তাদের সন্তানের অভাব হইনা এর কারন ওই ভিটামিন ডি। মাটে খালে কাজ করার ফলে সে অধিক পরিমান ভিটামিন ডি পাই। কিন্তু যারা সব সময় ঘরের ভিতর এবং এসির ভিতর থাকে তারা এই ভিটামিন পাইনা। ভিটামিন ডি এর অভাবে আপনার শুক্রানু উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। শুধু উৎপাদন ক্ষমতা নয় শুক্রানো যে গুলো উৎপাদন হয় সেগুলো হয় অত্যন্ত দুর্বল এটা আপনাকে খুব কম ডাক্তারই বলবে। কারন ওটা একটা বিশাল ব্যবসা তাদের। এটা কেন বললাম জানেন এক হিসাবে দেখা যায় প্রতি বছর শুধু শুক্রানু বাড়ানো এবং মিলন ক্ষমতা শক্তিশালী করার জন্য ডাক্তার রা ৪০০ বিলিয়ন ডলারের ঔষধ প্রেস্ক্রাইব করেন ডাক্তার। এই পরিমান ঔষধ তৈরি ও বিক্রির জন্য ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানীগুলো প্রচুর টাকা খরচ করেন ডাক্তারদের জন্য। যদি ডাক্তার আপনাকে রোদ থেকে চিকিৎসা করায় তবে এত ঔষধ কিভাবে সেল হবে। ডাক্তার যে পরিমান কমিশন পাই তা কোথা থেকে আসবে।

আমি এইভাবে নিয়মিত ১৩দিন ভিটামিন ডি খাবার খেয়ে ১৪ তম দিন আমার স্ত্রীকে বাসায় আস্তে বললাম টিক ১৪ ও ১৭ তম দিন মিলন করলাম। একেবারে অনেক দিন মিলন না করার ফলে অনেকের মিলনে অনিহা আস্তে পারে কিন্তু এই দিন গুলো যেহেতু খুব ইম্পরটেন্ট তাই দরকার পড়লে কোন হারবাল সেক্স বারানোর ঔষধ খেতে পারেন। মনে রাখবেন এই দুইদিন শাররিক মিলনে যেন আপনার স্ত্রী ও খুব খুশি হয়। এইভাবে কোন ঔষধ ছাড়াই আপনার দাম্পত্য জীবন কে সুন্দর করতে পারেন। সন্তান দেওয়ার মালিক আল্লাহ কিন্তু বিনা ঔষধ এই উপায় টা একবার ট্রাই করুন। আমি পরের মাসেই সুখবর পাই। আমি ২য় বারের মতো বাবা হই। আপনারা এইভাবে চেষ্টা করে সফল হতে পারেন।

এইখানে একটা জিনিস খুবি ইম্পরটেন্ট শরীরের ওজন কমাতে হবে আপনার সহধর্মিণীর। অতিরিক্ত ওজনের ফলে জরায়ুতে চরবি জমে যায়। জরায়ুতে চরবি থাকলে সন্তান হয়ার সম্বাবনা কমে যায়। যারা সন্তান নিতে চান তাদের ওজন ৬৫ এর বেশি হওয়া চলবেনা। ডাক্তারদের মতে মাসিক হওয়ার ১৪ তম দিন এবং ১৭ তম দিন খুব ইম্পরটেন্ট। আমি আগে ভাবতাম প্রতিদিন মিলন করলে একদিন না হয় অন্য দিন সন্তান এসে যাবে। এটা ভুল প্রতিদিন মিলনের ফলে আপনার বীর্যের শুক্রানু খুব দুরবল হয়। কিন্তু একবার এই নিয়ম পালন করে দেখুন শুধু ১৪ আর ১৭ তম দিন। অবশ্য এই ১৪ দিন এর মধ্যে একবারের জন্য ও আপনি কোন ধরনের শাররিক মিলন বা হস্তমইতুন করবেন না। কতগুলো পেনিসের ব্যায়াম করতে পারেন। এগুলো শিখার জন্য গুগল কিংবা ইউটিউবের সাহায্য নিতে পারেন।১৭ তম দিনের পর আপনি ইচ্ছামত মিলন করতে পারেন। এতে তেমন ক্ষতি নেই। কিন্তু আবার মাসিক শুরুর পরের দিন থেকে মাসিকের ১৪ তম দিন মিলন করবেন। টাকা তো অনেক খরচ করেছেন, বিনা মুল্যে একবার এই পদ্দতি অনুসরন করেন। দেখবেন আপনি অবশ্যি সফল হবেন এবং আপনার সন্তান হওয়ার চান্স অনেক বেড়ে যাবে।

ভিটামিন ডি নেওয়ার জন্য অনেকের এরকম গোপন জায়গা নাও থাকতে পারে। তাই আপনার হতাশার জীবনকে বিদায় করার জন্য এটা সবছেয়ে বেশি জরুরি। প্রয়োজনে অনেক দুরের জাইগা বেছে নিন। দক্ষিন পশ্চিম জানালা ওয়ালা ঘর হলে তো সুর্যের আলো পাওয়া কোন ব্যাপার না।

শুক্রানো উতপাদন বৃদ্দির জন্য এই সময় প্রতিদিন অন্তত একটি আপেল, প্রতি বেলা একটি ডিম খাবেন। গরুর মাংস সবুজ শাকসবজি চকলেট এগুলো আপনার শুক্রানোর বৃদ্দির জন্য এবং শক্তিশালী করার জন্য খুবি উপযোগি। এই ১৪ দিন অন্তত রোজ একটা আপেল, ৩টা ডিম, একটা মাল্টা প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখবেন।

লেখাটি যত পারেন শেয়ার করেন হয়ত এমন অনেক সন্তানহীন দম্পতি আছেন যারা এখনো একটি সন্তানের আশায় দিনের পর দিন এদিক ওদিক ছুটাছুটি করছেন।

ReplyForwardAdd reaction
Scroll to Top